BHEC + আমরা = ❓ (Memories)

BHEC

Bangladesh Home Economics College এর শিক্ষার্থীদের না বলা কথা গুলোর এক অংশ একটু গুছিয়ে একটু সাজিয়ে আপনাদের সামনে হাজির! তাও না বলা থাকে অনেক! এই খারাপ সময়ে স্মৃতির কিছু আর্বতন,

▶️ বাসার বাহিরে যে স্থানটাতে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় সেটা ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের বিবরণ দিতে গেলে নিশ্চয়ই সেখানে পুকুর পাড় থাকবে, জামতলা, বট তলা থাকবে, খোলা মাঠ, সবুজ বাগান, এই হল, ওই হল এইসবের বিবরণ থাকা চাই। কিন্তু না আমার ক্যাম্পাসে এইসব কিছুই নেই। BHEC এর স্টুডেন্টদের কাছে ক্যাম্পাস মানে কেবল ইট সিমেন্ট এ গড়া ভবন। অনার্স লাইফ এর শুরুটা এ নিয়ে একটা খারাপ লাগা ছিলো। কিন্তু সময়ের সাথে তা বদলেছে। মাত্র ২ বছর এই ক্যাম্পাসে পার করেছি। তাতেই কেমন জেনো একটা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে গেছি। তার পুরোটা অবদানই আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের। তাঁরা আমাদের সেই অভাবটুকু বুঝতেই দেন না। তাদের পড়ানো, ব্যবহার সব কিছুই ভীষণ অমায়িক। অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো এখানে নেই কোনো রাজনীতি, র‍্যাগিং কিংবা দল ভাগাভাগি। ছোট বড় সবার সাথে সবার সম্পর্কটা এখানে খুবই বন্ধুসুলভ। এখানে আসার সুযোগ না পেলে হয়তো জীবনে অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যেতো। ক্যাম্পাসের প্রতি ভালোবাসাটা আরো বেশি করে অনুভব করছি এই লম্বা ছুটি তে। অনার্স লাইফে এই প্রথম এতোদিন ক্যাম্পাসএ যাওয়া হয় না। ক্যাম্পাসের সাথে এতো এতো স্মৃতি জড়িয়ে যা লিখে শেষ করা সম্ভব না। সেই সকাল বেলা ক্লাসের ঠিক ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠে দৌড়াতে দৌড়াতে রেডি হয়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া। টিচারদের বাবা ডাক যা শুনে নিজেকে এখনো ছোট ভাবি। খুব মিস করি। দুপুরের ক্লাস গুলো ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে তাকিয়ে থাকা, ক্লাসের ফাঁকে ঘুম তাড়ানোর জন্য লুকিয়ে চা খাওয়া, ক্যান্টিনের আড্ডায় অজস্র প্রহর কাটিয়ে দেওয়া, এটেনডেন্স, ডিপার্টমেন্ট, ক্লাস, লেকচারের পিছনে ছুটোছুটি, সেই ব্যস্ত জীবনের সব কিছুকেই ভীষণ মিস করছি। সেই ব্যস্ত ক্যাম্পাস টাতে আবার খুব শ্রীঘ্রই জীবনের ব্যস্ততম সময় গুলো পাড় করবো। সে দিন আশা করি খুব দূরে নয়। আমরা থাকি বা না থাকি সবসময় খুব ভালো থাকুক প্রিয় ক্যাম্পাস।

🖋️Chaity Deb Nath (Committee Manager)

_________________

▶️কলেজে যাওয়া হয় না, আজ প্রায় দুই মাস হতে চললো৷ এই সময়টাতে অনুভব করলাম আসলেই অনেক বেশি ভালবেসে ফেলেছি নিজের এই প্রতিষ্ঠানটিকে। শুধু প্রতিষ্ঠানটিকে নয়, ভালোবেসে ফেলেছি শিক্ষক ও সহপাঠীদের৷ অনেক বেশি মনে পরে সবার কথা৷ আলাদা করে যদি কিছু মুহুর্ত বা জিনিস তুলে ধরতে হয় যেটা কিনা অনেক বেশি মনে পরছে তা আসলে বেশ কঠিন হবে৷
এই দুইমাসে কোন মুহুর্ত বেশি মনে করার চাইতে, ক্যাম্পাসে যাওয়া, ম্যাম দের লেকচার, বন্ধুদের সাথে আড্ডা খুব মনে পড়ছে। তবে হ্যা এখন সৃতিচারণ এর চেয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া, সবার সাথে দেখা হওয়া টা বার বার কড়া নাড়ছে।আশাকরি, খুব দ্রুত ই এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, এবং সকলের সাথে আবার দেখা হবে৷

🖋️Sadia Rahman Toru
_________________

▶️প্রিয় ক্যাম্পাস সম্পর্কে অনেক কিছুই মনে পড়ছে কিন্তু তার সবটাই হয়ত লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ক্যাম্পাসের প্রতিটা কোনায় রয়েছে স্মৃতি বিজড়িত নানান মুহূর্ত। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আমরা সকলেই ঘরবন্দি তবে সকলেই আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাসটিকে ভীষণভাবে মিস করছি,মিস করছি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের, মিস করছি সহপাঠীদের, মিস করছি ক্যাম্পাসে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত। দেখতে দেখতে কেটে গেছে দুটি বছর,জন্মেছে ভালোবাসা। কারনে হোক বা অকারনে অনেক সময় কলেজে যেতে বিরক্ত লাগত কিন্তু সেই বিরক্তিটাই যেন আজ মিস করছি। তবে আশা করি সেই দিনগুলো আবার আসবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং দেখা হবে এক সুস্থ পরিবেশে, সুস্থ শহরে।

🖋️Somiya Afrin

_________________

🔶ক্যাম্পাস:
ক্যাম্পাস শব্দটি  শুনলেই মনের মধ্যে যেনো একটা প্রশান্তি অনুভব হয়। একটি আনন্দমূখর শব্দ।
পরিবারকে ছেড়ে জিবনের নতুন পর্যায়ে পা দেওয়ার জন্য রওনা হই। ক্যাম্পাস সম্পর্কে বড় ভাইয়া আপুদের কাছে শুনেছিলাম,  কি রকম হয়। ক্যাম্পাসে নতুনদের সাথে র‍্যাগ নামক একটা ওয়ার্ড জরিত থাকে । ভেবে ছিলাম যখন ক্যাম্পাসে যাবো  সিনিয়ররা কি রকম হবে,  র‍্যাগ দিবে কিনা।  কিছুটা নারভাস  ও ছিলাম। কিন্তু যখন ক্যাম্পাস  প্রাঙ্গনে পা দিলাম অনুভব করলাম এক অপরূপ প্রশান্তি। সিনিয়ররা অনেক ভালো  তারা ছোটদের অনেক স্নেহ করে। যেকোনো প্রব্লেম এ পাশে এসে দাঁড়ায় এবং এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেয়।
শ্রদ্ধেয়  শিক্ষকগণ ছিলো অমায়িক যা বলা ই বাহুল্য। এত্ত আদর করে কথা বলতো এত্ত স্নেহ দিয়ে ক্লাস নিতো তা আর ভাষায় প্রকাশ  করা যাবে নাহয়তো। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো।
সহপাঠীদের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হলো , যাদের সাথে অনেক মজা, উল্লাস ও খুব আনন্দ সহকারে কাটিয়ে দিতাম ক্যাম্পাসের সময়টুকু। এই সময়টা দেখতে দেখতে কবে যে ২ বছর হয়ে গেলো বুঝতেই পারি নি।
মিস করছি সেই সুন্দরময় দিনগুলো।
এই মর্মান্তিক ভায়াবহ  সময়টা কাটিয়ে আবার এক সাথে হবো আমরা।

🖋️Khadijatul Jannat Promy

_________________

জীবনের এক আকাশচুম্বী স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল যেদিন তোমার অংশ হয়েছিলাম। ক্লাসরুমের প্রত্যেকটা টেবিল, চেয়ার, বোর্ড যেন রয়ে আছে হৃদয়ের চিলেকোঠায়। ক্লাসে দেরি করে আসা থেকে শুরু করে, বন্ধুর স্ক্রিপ্ট থেকে ক্লাস টেস্টের উত্তর কপি গুলাও আজ বেশ মনে পড়ছে।ক্যান্টিনে বসে বসে হাজার বিষয়ে যুক্তিহীন তর্ক গুলো এখন করা হয় না। মিস করি, প্রিয় বিদ্যাপীঠ।
এখন শুধু অপেক্ষার প্রহর গুনছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ফিরে যাবো নিজের প্রিয় বিদ্যাপিঠের কাছে ইন-শা-আল্লাহ!

🖋️Tahmina Akter Mina

_________________

Pictures: Khadijatul Jannat Promy

_________________

Executive Committee of Ambassadors
Of
Bangladesh Home Economics College

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ