লুঙ্গি একটি বর্মী ভাষার শব্দ। গবেষণায় দেখা গেছে, এর সূচনা হয়েছে দক্ষিণ ভারতে বর্তমানে তামিলনাডুতে।
ভেস্তি নামক এক ধরনের পোষাককে লুঙ্গির পূর্বসূরী বলে মনে করা হয়। ইতিহাসে উল্লেখিত আছে মসলিন কাপড়ের ভেস্তি পোষাক তামিল থেকে ব্যবিলনে রপ্তানী হত। ব্যবিলনের প্রত্নতাত্ত্বিক নিবন্ধে 'সিন্ধু' শব্দ খুঁজে পাওয়া যায়। তামিল ভাষায় সিন্ধু অর্থ কাপড় বা পোষাক।
▶️ এধরনের পোষাক ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা এবং মায়ানমারে এর প্রচলন দেখা যায়। যদিও এটির সূচনা দক্ষিণ ভারতে কিন্তু এটি দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সম্প্রদায়ই ব্যবহার করে থাকে।
▶️ দৈনন্দিন পরার ক্ষেত্রে লুঙ্গি সাধারণ দুই গেড়ো বাঁধন বেশি জনপ্রিয়। কারণ এতে লুঙ্গি খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। লুঙ্গি সাধারণত নিজের স্বস্তিপূর্ণভাবে পরা হয়, যাতে এর দৈর্ঘ্য সহজেই ঠিক করে নেওয়া যায়। যে সকল অঞ্চলে গরম এবং আর্দ্রতার কারণে ট্রাউজার পরিধান কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে সে সব অঞ্চলেই এটি পরা হয়।
▶️ লুঙ্গি নিয়ে একটা মজার গল্প ও রয়েছে!
বর্তমানে লুঙ্গি বাংলাদেশ, বার্মা, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোয় বেশি জনপ্রিয়।
▶️ লুঙ্গির অনেক কিছু উপকারিতা রয়েছেঃ
✔️গরমে লুঙ্গির চেয়ে উপকারি পোশাক খুব অল্পই আছে। বদ্ধ ঘরে যেমন বাতাস ঢোকার জন্য ভেন্টিলেটর থাকে তেমনি শরীরে বাতাসের প্রবাহ বজায় রাখতে লুঙ্গির বিকল্প নেই। লুঙ্গি হচ্ছে গরমে শরীরের ভেন্টিলেটর!
✔️ধরুন কেউ থ্রি কোয়ার্টার/হাফ প্যান্ট পরে আছে। হুট করে খুব জরুরি একটা ফোন এলো যে তাকে এখনই বের হতে হবে। এমতাবস্থায় বাইরে বের হওয়ার জন্য প্রথমে লুঙ্গি/গামছা পরে হাফ প্যান্ট খুলে জিন্স কিংবা বাইরে বেরুনোর পোশাক পরতে হবে। এটা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আপনি যদি লুঙ্গি পরে থাকেন তাহলে হঠাৎ জরুরি কাজে বাইরে বের হতে হলেও সমস্যা নেই। জাস্ট যেটা পরে বের হবেন ওটা খুঁজে পেলেই খেল খতম। পোশাক চেঞ্জের জন্য লুঙ্গি খুঁজে সময় নষ্ট হবে না। কারণ লুঙ্গি তো পরাই আছে।
লুঙ্গির অপকারীতা নেই বললেই চলে শুধু কিছু সাবধানতা মেনে চললেই হয়।
তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, গুগুল।
লেখক:
আকাশ দাশ
এপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং
ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ।
পীরগঞ্জ,রংপুর। (DWMTEC)
0 মন্তব্যসমূহ