SARSTEC + আমরা = ❓ (Memories)

SARSTEC


Shahid Abdur Rab Serniabat Textile Engineering College আর ভালোবাসা কত গভীর ভাবে একে অন্যের সাথে মিশে আছে তা প্রকাশেরই জন্য ছোট্ট আয়োজন!

✔️ Md. Jubair Sheikh

(10th Batch)

🔶 ভালোবাসার কি কোন সংজ্ঞা হয়? না হয় না।হলেও তা খন্ডিত। ভালোবাসা প্রকাশের কোন সার্বজনীন নিয়ম ও হয়তো নেই। রোজ কাক ডাকা ভোরে উঠে এ শহরের কিছু অলিগলি পেরিয়ে যখন ১৪ একরের ভালোবাসায় সিক্ত হই, আরো একটি বার নিজেকে সফল মনে হয়। পুকুরের উপর নবাগত আলোকরশ্মি হয়তো এদেশের অনেক জায়গাতেই দেখা যায়। কিন্তু প্রিয় সার্সটেকের পুকুরের সে রশ্মি যেন স্বর্গ থেকে বেরিয়ে আসা দেবদ্যুতি। আজ ছোট একটি ভাইরাস হয়তো আমাকে ছুতে পারেনি ঠিক, কিন্তু দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে আমার অতীত সোনালি সুখের আবহ। সারাদিন ক্লাস করে ম্যাসে ফিরে এসে বন্ধুদের সাথে "ব্যাচেলার পয়েন্ট" দেখে আবারো সে ভালোবাসায় নতুন করে সিক্ত হতে চাই। সুস্থ্য শহরে চিৎকার করে বলতে চাই ভালোবাসি প্রানের ক্যাম্পাস "SARSTEC"!

✔️ Tohida Akter

(10th batch)

🔶৯-১০ দিনের জন্য পাওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান উপহার ছিল আমাদের ক্যাম্পাসে সবার সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত। এই উপহার আমাকে অন্য এক রকমের সাহস দেয়, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং সবাইকে সহজে আপন করে নেওয়ার। বাসা থেকে ১৪-১৫ ঘন্টার দূরত্বের জায়গায় এসে পড়ালেখা করাটা ছিল আমার জন্য অনেকটা স্বপ্নের মত। তবুও আল্লাহর রহমতে সাহস করেই ভর্তি হতে এসেছিলাম। ভর্তির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জানতাম না আমি আমার জীবনের অন্যতম উপহার পেতে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসে পা রাখার পর থেকেই ক্যাম্পাসের এক একটা সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে তুলেছে। ভর্তির পরও যখন চিন্তা করতাম পরিবার ছেড়ে কিভাবে এত দূরে থাকবো, ঠিক তখনই বুঝতে পারলাম আমার জন্য অপেক্ষা করছে আরও একটি পরিবার। যেখানে স্যার ম্যাম রা আমাদের বাবা মার দায়িত্ব পালনে অবরত, বড় আপুরা আমাদের বড় বোনের মত ২৪ ঘন্টাই খেয়াল রাখছে। নিজের বোনের মতই ভালোবাসা, আদর দিয়ে গেছে। তাছাড়া এত সুন্দর ক্যাম্পাসের এত সুন্দর হলে থাকার পরিবেশ ছিল আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। হঠাৎ করে পরিচয় হলেও ব্যাচমেট বান্ধবীরা খুবই কাছের মানুষ হয়ে যায়। তাদের সাথে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্ত ছিল অন্যরকম সুন্দর মুহূর্ত যা আমার জীবনের প্রিয় মুহূর্ত গুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিবারকে ছেড়ে এসেছিলাম ঠিক কিন্তু ক্যাম্পাসে সকল মুহূর্ত পরিবারের অভাব বুঝতে দেয়নি। পরিবারের সকলের মত আমাদেরকে সিনিয়র আপুরা সর্বদা আগে রাখত, পরিবারের কথা মনে আসার পুর্বেই কাছে টেনে নিয়ে সব ভুলিয়ে দিতো এমনকি বান্ধবী রা রাত জেগেও গল্প করতো যাতে কষ্ট গুলো কম হয়। মাত্র 10 দিন এই সকল মুহূর্ত পেয়েছিলাম। তবে বেঁচে থাকলে আবার প্রাণের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই। ক্যাম্পাসের মসজিদ, শহীদ মিনার, অডিটোরিয়াম, সুবিশাল দীঘি, ল্যাব, হল,, ডরমিটরি একাডেমি ভবন সহ লাইব্রেরীর কাছে আবার যেতে চাই। আবার চাই হল থেকে বের হয়ে ফুলের বাগানের সামনে দিয়ে ক্লাস রুমে যেতে। আবার চাই বড় আপুদের সাথে বোনের মত সম্পর্কটা আরো মধুর করে তুলতে।আবার চাই ক্যাম্পাসে প্রত্যেকটা মুহূর্তকে নতুন করে নিজের জীবনে জায়গা দিতে। আবার দেখা হবে সেই প্রাণের ক্যাম্পাস শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল এ।

✔️ Rabby Islam

(9th batch)

🔶আমার ক্যাম্পাসে সবচেয়ে স্পেশাল সময় হচ্ছে ঠিক মাগরিবের নামাজের পর পর পুকুর পাড়ে বসে থাকা। কর্নারে কর্নারে ছোট ছোট বাতি আর হু হু শব্দ করে আসা বাতাস। এই দৃশ্যের সাথে বাতাসে শরীর শীতল হয়ে যাওয়া মূহুর্তটা দারুন লাগে আমার কাছে। পৃথিবীর এই ব্যধির কারনে এই সময়টা মিস করি খুব। এছাড়া বন্ধুদের সাথে আড্ডা, মজার সময় কাটানো গুলো দারুন মিস করি।

মিস ইউ প্রিয় ক্যাম্পাস, প্রিয় সার্সটেক♥

✔️ Md. Mahadi Hasan

(10th batch)

🔶দীর্ঘ ১০ বছরের স্কুল জীবনের পড়াশোনা শেষ করে প্রবেশ করেছি স্বপ্নের টেক্সটাইল ক্যাম্পাসে!ক্যাম্পাসের স্মৃতি বেশি দিনের নয়।মাত্র ৮ দিনের। এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ভাইয়া/আপুদের সহযোগিতা ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায়, শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এ শুরু হয়েছে একটি নতুন সোনালি অধ্যায়।
করোনা নামক মহামারিতে আজকে অপ্রিয় সত্য কোয়ারেন্টাইনে থেকে মিস করছি স্বল্পদিনের সোনালি স্মৃতি গুলো। প্রথম দিন অচেনা অজানা সিনিয়র ভাইয়ার কাধে হাত রেখে অডিটোরিয়াম রুমে যাওয়াটা বড্ড মিস করছি।অচেনা থেকেও মনে হয়েছিলো চিরচেনা আপন মায়ের সহোদর। ক্লাসমেটদের সেই জিজ্ঞাসা গুলো, ক্লাস কখন হবে,ক্লাসে কি পরা দিয়েছে,কেন বিরতি দিয়ে ক্লাস দিয়েছ, খুব মিস করছি ওদের মেসেজ গুলো। সকালের ঘুমটাও ভাংগেনা ওদের মেসেজ এর টুন টুন শব্দে।
আজকে পুরো পৃথিবী নিরব নিস্তব্ধ। আমিও নিস্তব্ধ হয়ে যাচ্ছি ক্যাম্পাসের স্মৃতি গুলো মনে করে করে।
আশা করি খুব তারাতারি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।এই শহরের গারি গুলো হর্ন বাজাবে আবার,পাখি গান করবে তার আপন শুরে, আমরা ফিরে যাবো ক্যাম্পাসে।

✔️ Md. Saif uddin

(10th batch)

🔶 গেইট দিয়ে ঢুকার পরপরই পাকা রাস্তার পাশে সবুজ মাঠ, মাঠের কাছাকাছি সুদৃশ্য মসজিদ, আর একটু এগুলেই দৃষ্টিনন্দন বাধাই করা পুকুর। পুকুর পাড়ে সারিবদ্ধ গাছ এবং সেই গাছগুলোর নিচে ছোট ছোট বেঞ্চ। এর সবকিছুই অনেক বেশি মিস করছি এই কোয়ারেন্টাইন এর সময়টাতে। বলছিলাম , আমার প্রাণের ক্যাম্পাস শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর কথা। করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করায় গত ১৭ই মার্চ থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ ২ মাস ৫ দিন হলো ক্যাম্পাসে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ৮ই মার্চের অরিয়েন্টেশন ক্লাস এবং এর পরের ৮-৯ দিনের স্মৃতিগুলো প্রতিনিয়তই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেক বেশি মিস করছি হাসি-কান্নার সাথি- আমার প্রিয় ব্যাচমেট , স্নেহপরায়ণ শিক্ষক এবং সিনিয়র ভাইয়াদেরকে।

✔️ Mahmudul Haque

(9th batch)

🔶"SARSTEC ক্যাম্পাস" কথাটা মনে হলেই মনে একটা অন্যরকম ভালোবাসার অনুভুতির কথা মনে হয়, মনে হয় সকল ভাইবোনদের একসুত্রে মিলিত হওয়ার স্থান, যেখানে আমরা সবাই একে অপরকে সবসময় অনন্দে বরণ করে নিই, সবসময় একে অপরকে সফলতার পথে হাতছানি দিয়ে ডাকি, সবাই একসাথে সফল হতে চাই। ছোট্ট এই ক্যাম্পাসটা অনেক গুলো ভালোবাসা দিয়ে সাজানো, অনেকগুলো উজ্জল ভবিষ্যতের কান্ডারিরা এখানে স্বপ্ন বুনতে থাকে। এখানে স্বপ্ন দেখাতে শেখানো হয়, মানুষতো স্বপ্নের উপর সাওয়ার হয়েই সফলতার চূড়ায় পৌছায়,সুস্থতা কামনা করছি SARSTEC পরিবারের সকল শিক্ষার্থীদের ও আজ এখানেই শেষ করছি।

✔️ Bristi Shaha

(9th batch & Assistant Committee Manager)

🔶 ক্যাম্পাস ! 😌শব্দ টা শুনলেও মনের মধ্যে কেমন যেন শান্তি লাগে।😇 যাত্রা শুরু হয়েছে ১১ই মার্চ,২০১৯ থেকে। 😊বাড়ি ছেড়ে সম্পূর্ণ অচেনা শহরে পাড়ি জমিয়েছিলাম। দেখতে দেখতে একটা বছর সময় পার হয়ে গেছে।😇 কখন যে এতটা সময় চলে গেছে, টের ও পাইনি।😊 ছিলাম ক্যাম্পাস এর সবচেয়ে ছোট, তাও প্রতিটা ইচ্ছা পূরনে ছিল সবার উৎসাহ আর সহযোগিতা।😍প্রথম পহেলা বৈশাখ, টিশার্ট পার্টি, র্যাগ ডে, পিঠা উৎসব, সরস্বতী পূজা সহ আরো অনেক অনুষ্ঠান এর মুহুর্ত গুলো ছিল অবিস্মরণীয়।🥰

মিস করি প্রিয় ক্যাম্পাস, প্রিয় লুব্ধক কে।❤️❤️❤️

✔️ Shahaparan Abdullah

(9th batch & Committee manager)

🔶"SARSTEC" এই নামটা শুধু যে ক্যাম্পাস তা রিলেটেড তা কিন্তু না,এখানে জড়িয়ে আছে আমার মতো হাজারো স্টুডেন্টের বৈচিত্র্যময় অনুভূতি, স্মৃতির অনুধাবন।

বর্তমান মহামারী করোনা ভাইরাসের এই অসময়ে ছুটে পড়া ক্যাম্পাসকে খুবই বেশি ‌মনে পরছে। 1টি বছরে ঘটে যাওয়া কত না স্মৃতি বিজড়িত ছিলো আমার ক্যাম্পাসে। সেগুলো নিয়ে না বলেই নয়ঃ

1)প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাস করতে যাওয়াটাকে অনেক বেশি মিস করি।
2)ক্লাস রুম থেকে বাহিরের প্রকৃতিকে দেখা অনেকদিন মিস করছি।
3) আমার সম্মানিত শিক্ষক , সহপাঠী, সিনিয়র ভাইয়া, জুনিয়র কতদিন তাদের দেখিনা।
4)ক্লাস শেষ করে ক্যাম্পাসের পুকুরের পাশে বসা হয় না অনেকদিন।
5)হলে বসে সিনিয়র জুনিয়র মিলে টিভি দেখা, কেরাম খেলা, এসব অনেকদিন ধরে মিস করছি।
6) বিশেষ করে হলে রাতে ক্রিকেট খেলা টাকে অনেক মিস করছি।
7) মিস করছি আমার প্রানপ্রিয় প্রত্যেক সহপাঠীদের যাদের ছাড়া ক্যাম্পাসের জীবন কল্পনা করা যায় নাহ।

অনেককিছু মনে পড়ছে, যেগুলো হয়তোবা এখানে লিখে শেষ করতে পারবো না।শুধু এটাই চিন্তা করছি ভালো হয়ে যাক পৃথিবী ভালো হয়ে যাক দেশ, আমি আবারও ফিরতে চাই আমার সেই চিরচেনা ক্যাম্পাসে 😍😍

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ