BUFT + আমরা = ❓ (Memories)

BUFT


BGMEA University of Fashion & Technology এর প্রতিনিধিরা তাদের প্রিয় ক্যাম্পাস নিয়ে ভালো মূহুর্ত গুলোকে স্মরন করে তাদের লেখাগুলোতে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে!
___________________________________________

ভার্সিটি লাইফ বলতেই সবার নিকট এক বন্ধুবান্ধব নিয়ে আনন্দঘন মুহুর্তগুলার কথাই মনের স্মৃতিতে উঁকি দেয়৷ তবে সেটা যখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির বেলায় আসে তখন আনন্দঘন মূহুর্ত থাকলেও প্রেক্ষাপট থাকে ভিন্ন পাবলিক ভার্সিটির তুলনায়। কেননা প্রতিদিন সকাল - বিকাল ক্লাস, ল্যাব, এক্সামের ফাকে আর সুযোগ কই? তবে আমরা BUFTian রা ব্যতিক্রম! প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়লেও আমরা পাবলিক ইউনিভার্সিটির মতই কিছুটা হলেও মুহুর্তগুলো উপভোগ করতে পারি। এর মূল কারন বলতে গেলে অবশ্যই আসবে আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও ক্যাম্পাসের টং দোকানগুলো। টং দোকান তো সবখানেই থাকে তবে আমাদের গুলো আসলেই ভিন্নরকম। মূল শহর থেকে একটু সাইডে এক নিড়িবিলি যায়গায় হওয়ায় নেই কোনো শহুরে যান্ত্রিকতার ছোয়া। প্রতিটা টং ই যেনো একেকটি আড্ডাখানা। ১০ মিনিট কিংবা ১ ঘন্টার ব্রেক; ব্রেক মানেই টং এ আসা, এই যেনো এক অন্যরকম মায়ার টান! গান বাজনা, আড্ডা, পড়াশুনা, যুক্তি তর্ক সব কিছুরই কেন্দ্রস্থল এই টং গুলো! 

আর BUFT ই হচ্ছে দেশের একমাত্র টেক্সটাইল বেইসড বিশেষায়িত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। টেক্সটাইল শিল্পের ভবিষ্যৎ কান্ডারীদের এক কেন্দ্রস্থল। পড়াশুনা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, খেলাধুলা, ক্লাব পর্যায়ে কর্মকাণ্ড সবদিক থেকেই আজ দেশের টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে এক অন্যতম শীর্ষ নাম BUFT. 

ভালো থাকুক BUFT, চলতে থাকুক টং এর আড্ডাগুলো এবং শিক্ষাদীক্ষায় দেশ বিদেশে দ্রুতি ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের এই প্রিয় ক্যাম্পাসের! অপেক্ষা শুধু এখন এই করোনা পরিস্থিতি সামলিয়ে পৃথিবীর সুস্থ হবার!

- Sanjid Tahrim Ifty 
Committee Manager
BUFT
___________________________________________

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা যেন স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকে কিছুদিন আগ পর্যন্ত খালি ভাবতাম কবে ক্লাস বন্ধ দিবে, কখন ছুটি পাব। আর এখন এত দীর্ঘ বন্ধের পর ক্যাম্পাস কে খুব মনে পড়ছে ।

বিশেষভাবে বলতে গেলে মেস লাইফটাকে বেশি মিস করতেছি ক্যাম্পাসের সাথে সাথে। রুম্মেটদের সাথে কাটানো সেইসব সুখকর সময় গুলি এখন সবই স্মৃতি হয়ে রয়েছে। সারাদিন ক্যাম্পাসে ক্লাস করার পড়ে ক্যাম্পাসের নিচে লিমন,মোল্লার টং এ যেয়ে একটা চায়ের কাপে অনেক প্রশান্তি খুজে পেতাম। আর সাথে বন্ধুদের কথাবার্তার বিতর্ক তো থাকছেই। ক্যাম্পাসের কমনরুমের উপচেপড়া ভিড়ে ক্যারাম, টেবিলটেনিস খেলা মিস করি।ক্লাসের ব্যাক বেঞ্চারদের মিস করি খুব এবং তাদের সাথে রসিকতা টাও। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে নিজের মেস এ এসে একবারের জন্য ও নিজেকে ক্লান্ত মনে হতো না। রুম্মেটদের বলা " মামা,পাব্জি হবে নাকি?" "নিচের থেকে চা খেয়ে আসি চল" "প্রথম ক্লাস ৯ টায় এটা মিস দিলে পরেরটা ১২ টায় ঘুমা!" " কাল ক্লাস আছে সকালে ডাকিস" " তোর ল্যাব রিপোর্টটা দেতো" "কাল আমার প্রক্সিটা দিস পারলে " - এই উক্তিগুলো ভীষণ মিস করি।মিড কিংবা ফাইনালের আগে একসাথে গ্রুপ স্টাডি গুলো মিস করি।পরিক্ষার আগের রাতে সবার চোখে মুখে যেই ভীতি কাজ করে সেটা মিস করি। ভীষণভাবে মিস করি আমার সহপাঠিদের এবং কিছু প্রিয় ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের। তাদের সাথে আর কবে দেখা হবে যানি না তবে এই খারাপ সময়ের ক্রান্তিলগ্নে সবাই ভালো থাকুক এবং সুস্থ থাকুক এটাই আমার একমাত্র কাম্য। 

পরিশেষে বলতে চাই সুস্থ শহরে আবারো দেখা হবে সবার সাথে এবং আবারো টং এ আড্ডা জমবে ওই ব্যস্তময় দিনে। ভালো থাকুক প্রিয় মানুষগুলো, ভালো থাকুক আমার ক্যাম্পাস😇

- Md. Hasibul Ferdous Tanvir
Assistant Committee Manager
BUFT
___________________________________________

বিশ্ববিদ্যালয় মানেই ক্যাম্পাস,বিশ্ববিদ্যালয় মানে বন্ধু, আড্ডা,বড়- ভাইয়া আপুদের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর বিস্তৃত পরিসরে নিজেকে সবার সামনে তুলে ধরা। এই অনুভূতি গুলো আসলেই বিরল।আর এ বিরল অনুভূতি নিয়ে ঘেরা আমার যে সেকেন্ড হোমটির কথা বলছি তার নাম হলো বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফেশন এন্ড টেকনোলোজি।বাংলাদেশের অন্যতম টেক্সটাইল বিশ্ব্যবিদ্যালয় গুলোর মধ্যে একটি।এক অন্যরকম ক্যানভাস আকাঁ আমার ক্যাম্পাস।

ক্যাম্পাসের প্রতিটি সকাল যেনো সোনালি আলোর মতো দীপ্ত দেখায়,প্রতিটি বিকেল যেনো সূর্যাস্তের রক্তিম আলোর মতো স্নিগ্ধ লাগে।এই ব্যাস্ত শহরে কনক্রিট বিল্ডিং এ খুব কমই সব ঋতু সৌন্দর্য উপভোগ্ করা যায় কিন্তু এ ব্যস্ত শহরে এমন ক্যাম্পাস যেখানে বর্ষাকালে বৃষ্টির দৃশ্য,শরতের কাশফুল,আর বসন্তের বাতাস যেনো এক অপরূপ সৌন্দর্যের বিশালতা আমাদের বিউএফটি।
আড্ডা ছাড়া তো ক্যাম্পাস জীবন অবাস্তব কল্পনা।মাঠে,মুক্তমঞ্চের সেই কলোহিত আড্ডা, ক্যাফেটেরিয়ায় আড্ডার সাথে গানের আসর যেন এক অন্যরকম উন্মাদনা।আর টং এর চা,ভাজাপোড়া খাবার সবসময়ের ভালোলাগা। 
এভাবে ক্যাম্পাসের চত্বরগুলো বন্ধুত্বের ভালোবাসায় সিক্ত হোক সাথে আমার ভালোলাগার সেকেন্ডে হোম বিউএফটির সুন্দর সৃতিগুলো গ্যালারী ভরে জমতে থাকুক।

- Sanjida Afreen
___________________________________________

১২ টা বছর স্কুল কলেজের গন্ডী পেরিয়ে যখন একটি নতুন পরিবেশে যাই তখন সবার মতো আমারও একটু ইতস্তত লেগেছিলো। নতুন মানুষ নতুন মানুষ, ১ বছর এর যাত্রা না দৈর্ঘ্য হিসেবে বড় না গুনের দিক থেকে। তাও কিছু কিছু মুহূর্ত কখনও ভুলার নেই। তার মধ্যে বললে একদিন ছুটির সময় বাহিরে খুব বৃষ্টি, তো বাহিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই, তাই তো লাইব্রেরীর বিপরীতে সবাই ৩ নং পিলারের নিচে বসে ছিলাম, তারপর হঠাৎ কোরে মাহিন আসলো গিটার নিয়ে, তারপর রাফসান আসলো, সবাই ঠি ক করলাম অনিকেত প্রান্তর গান গাইবো, যখন রাফসান গান শুরু করে সবাই সেই গানে হারিয়ে নিজের গলা ছেড়ে শুরু করলাম, তারপর সবাই এক এক করে 
সেই বৃষ্টির মুহূর্তে সবার গলার সেই গান ❤️

- Efaz Ahammed
___________________________________________

ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর নতুন পরিবেশে নতুন মুখ এসবের সাথে মানিয়ে নিতে পারবো কিনা তা ছিল চিন্তার বিষয়। তারপর দিন যেতে লাগল আস্তে আস্তে সব কিছুই আপন লাগতে শুরু হলো। নিজেদের মধ্যে আড্ডা, গান, ক্রিকেট-ফুটবল এসবের মাধ্যমে বোঝাপড়া‌ টা একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে লাগলো। এই কোয়ারেন্টাইনে‌ আমাদের পদাচরণ, গান, আড্ডা যা আমাদের প্রিয় ক্যাম্পাস, ক্লাসকে মাতিয়ে রাখতো তা খুব মনে পড়ে।পুরো দুনিয়া থেমে থাকলেও সম্পর্ক‌ তো আর থেমে থাকেনা। আশা করি আবার সবাই একসাথে নতুন স্মৃতি তৈরি করো।

- Robiul Awal Tanvir
___________________________________________

বাসার বাহিরে যে স্থানটাতে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানো হয় সেটা ক্যাম্পাস।আর ক্যাম্পাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিস করতেছি বন্ধুদের সাথে আড্ডা, টং এর চা, মামার বানানো আচার দিয়ে ঝালমুরি।এখন আর সেই আগের মতো টং এ বসে বড় ভাই, আপুদের গান শোনা হয় না, সকালের ক্লাসে স্যার এর লেকচার শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়া হয় না। আবার কবে আমার ক্যাম্পাস খুলবে😥 আবার কবে সবার সাথে আড্ডায় মেতে উঠতে পারবো🥺। আমাদের ক্যাম্পাসে নেই কোনো রাজনীতি কিংবা দল ভাগাভাগি। ছোট বড় সবার সাথে সবার সম্পর্কটা এখানে খুবই বন্ধুসুলভ। এখানে আসার সুযোগ না পেলে হয়তো জীবনে অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যেতো। ক্যাম্পাসের প্রতি ভালোবাসাটা আরো বেশি করে অনুভব করছি এই লম্বা ছুটি তে। সেই ব্যস্ত ক্যাম্পাস টাতে আবার খুব শ্রীঘ্রই জীবনের ব্যস্ততম সময় গুলো পার করবো,ইনশাল্লাহ।

- Fuad Hassan
___________________________________________

বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাসের কাটানো সময়গুলো ছিল অন্য রকম এক অনূভুতি যা বর্তমান পরিস্থিতিতে রোজই স্মৃতিতে দৃশ্যমান হয়।বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত গুলো ছিল অনন্য।সেই মুহূর্ত গুলই বেশি মনে পরে।গ্রিহবন্দি এই সময়ের অবসান যে কবে হবে তা একমাত্র সৃষ্টি কর্তা জানেন। হয়ত,কোন একদিন এ বন্দি দশার ইতি ঘটিয়ে আবার সেই চিরচেনা কম্পাসে চেনা মুখগুলোর সঙ্গে আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।

- Mohammad Muzahedul Islam Rifat
___________________________________________

BUFT
ভার্সিটির তখন কেবলমাত্র শুরু করেছি। ফটোগ্রাফি ক্লাব থেকে গেলাম ফটোওয়াল্ক এ। সে এক নতুন অভিজ্ঞতা। গেছিলাম বালিয়াটি জমিদার বাড়ি। অনেক সুন্দর মুহুর্ত কাটিয়েছিলাম। অনেক নতুন বন্ধুও বানিয়েছি। সবচেয়ে সুন্দর মুহুর্তএর মধ্যে ছিল বৃষ্টি। হুট করে ঝুম বৃষ্টি নেমেছিল। সামনে জমিদার বাড়ি তার পরে একটি পুকুর বৃষ্টি তে বসে আছি আমি।৷ অনেক সুন্দর সময় ছিল।।

- Mst. Nur - E- Afrin Mim
___________________________________________

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটানো সময়টা খুব বেশিদিনের না হলেও, দীর্ঘ অপেক্ষা আর কৌতুহল নিয়ে ক্যাম্পাসে আসার পর সময়গুলো ছিল অত্যন্ত ভালোবাসার। আর যখন পৃথিবীর অসুস্থতায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনটা যেনো স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। 
বিশেষ করে ক্যাম্পাসের বন্ধুদের সাথে কড়িডোরে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় ক্যাম্পাস হতে বাহিরের সেই তুরাগ নদীর পাড়ের অপরূপ দৃশ্য দেখার অনুভূতি গুলো স্মৃতিকাতর করে তুলছে। লাইব্রেরীর সেই বইগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করা, ক্যান্টিন আর টং এর সেই গানের আড্ডা যেমন মনে পড়ছে তেমনি ফ্যাকাল্টি দের আদর আর শাসন তেমনই মনে পড়ছে। ক্যাম্পাসের সেই কড়িডোর, ক্লাসরুম আর তার প্রাঙ্গণের আড্ডায় ফিরে যেতে চাই এই বন্দি জীবনের অবসান ঘটিয়ে, ততদিন সুস্থ থাকুক আমার প্রিয় ক্যাম্পাস, সকল শ্রদ্ধেয়   
 ফ্যাকাল্টিরা , আর ভালোবাসার বন্ধুগুলো ❤

- Gulsan Ara Liya
___________________________________________

Executive Committee of Ambassadors (ECA)
Of
BGMEA University of Fashion and Technology
___________________________________________

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ