Latest Textile | Mohammad Imtiaz Khan
ঢাকার বুড়িগঙ্গার পর এখন চট্টগ্রাম শহরের নীরব জীবনী শক্তি কর্ণফুলীর দিকে যেন আমাদের শকুনের দৃষ্টি পড়েছে!
কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কারখানা যার মধ্যে টেক্সটাইল কারখানা গুলো অন্যতম, যার বেশির ভাগ কারখানায় ইটিপি নেই। ইতোমধ্যে এগুলোর বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও নগরের বিভিন্ন বর্জ্য, খাল ও নর্দমার সাথে মিশে দূষিত হচ্ছে এই নদী।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, এই শকুনদের সংখ্যা অসংখ্য। নদীর দুই পাড়ে অবস্থিত প্রায় সাড়ে ৭’শ থেকে ১ হাজার শিল্প কারখানা। প্রতিদিন ১৫০টি কারখানা থেকে প্রায় ৬২ ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ কর্ণফুলীর পানির সঙ্গে মিশে পানিকে দূষিত করছে।
প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতি এবং প্রশাসনিক পৃষ্ঠপোষকতায় নদী হচ্ছে দখল। যেখানে ১০ বছর আগেও ছিল নদী, সেখানে আজ নির্মিত হচ্ছে বহুতল ভবন ও মার্কেট। নদীর তলদেশে জমা পরে আছে ১৮ মিটারের প্লাস্টিকের স্তর, কিন্তু আধুনিক যন্ত্রের অভাবে ড্রেসিং করা সম্ভব হচ্ছেনা।
অপর দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে এখনও সুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় এসব বর্জ্য সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ছে। কোনো প্রকার পরিশোধন ছাড়াই মল মূত্রসহ পয়:বর্জ্য খোলা নালা-নর্দমা, খাল ও ছরা হয়ে পড়ছে নদীতে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরে জানতে চাইলে তারা সিটি কর্পোরেশনের দোষ দেন আর সিটি কর্পোরেশনে জানালে তারা চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দোষ দিচ্ছেন! এ যেন কাঁদা ছোড়াছুরি।
প্রকৃত পক্ষে সোচ্চার হতে হবে আমাদের সবাইকে!
আজ নদী না বাঁচলে কাল কারখানা বন্ধ হবে, বন্ধ হবে দেশের প্রধান রপ্তানি বন্দর, প্রধান রপ্তানি খাত টেক্সটাইল। পরশু আবার আমরা পিছিয়ে যাবো।
করোনার কারণে শ্রমিক ছাঁটাইয়ে আমাদের যে অবস্থা হয়েছে, পরিবেশের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে এর থেকে হাজার গুন ফল ভোগ করতে হবে এদেশের নিম্ন শ্রেণীর মানুষদের।
0 মন্তব্যসমূহ