স্বাধীন বাংলাদেশ ও মুজিব কোট - Independent Bangladesh & Mujib Coat

Mujib Coat

Latest Human | Mohammad Imtiaz Khan

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আর এই মাস আসলেই প্রথমে মনে পড়ে যায় দীর্ঘ নয় মাস রক্ত স্রোতের পর বিজয় অর্জনের কথা, আমাদের পূর্ব-পুরুষদের কথা আর মনে পড়ে সেই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ নেতার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

সাধারণ জীবন যাপন করা জন-মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধুর চিত্র মনে পড়লেই আমাদের চোখে পড়ে তার সাধারণ তবুও অসাধারণ পোশাক "মুজিব কোট"

তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চিহ্ন

তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে প্রিয় এই নেতার পোশাক প্রায় সকল বয়সের সকল মানুষের গায়ে দেখা যেতো। আওয়ামীলীগের বেশির ভাগ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর সম্মানে "মুজিব কোট" পরে থাকেন। এখনও তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চিহ্ন এই মুজিব কোট।

মুজিব কোটের বৈশিষ্ট্য

"মুজিব কোট" বলা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহ্‌রু এর ব্যবহার করা জ্যাকেটের একটি সংস্করণ, যা তিনি ১৯৪৭ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পরতেন।

"মুজিব কোট (Mujib Coat)"

সূচনা সময়: ১৯৪৯ (আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন)

কাপড়: সাধারণত সুতি কাপড় (Cotton Fabric)

ধরণ: জ্যাকেটের মত, সামনে পিছনে একইরকম

বৈশিষ্ট্য: উঁচু-গলা বিশিষ্ট

পকেট: নিম্ন অংশে দুটি পকেট

হাতা: হাতাহীন (Sleeveless Coat)

কলার: বোতাম ছাড়া (Band Collar)

রং: কালো

বোতাম সংখ্যা: ৬ টি


বঙ্গবন্ধু কেন ৬ টি বোতামওয়ালা কোট পড়তেন?

অনেকের ধারণা "মুজিব কোট" ছয় বোতাম বিশিষ্ট হওয়াটি ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনের ছয়-দফা দাবির সঙ্গে সম্পর্কিত।

তবে, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন এবং প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের মন্তব্য যে মুজিব কোট এবং ছয় দফা দাবির সাথে কোন সম্পর্ক নেই।

বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পোশাক

সাদা পাজামা ও পাঞ্জাবি আর এই কোট, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় পোশাক ছিল। ঠিক কত সাল থেকে বঙ্গবন্ধু এই কোট পরা শুরু করেছিলেন, তার কোনো নির্দিষ্ট সময় জানা যায়নি। তবে মজলুম নেতা মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক যখন আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করলেন তখন মোশতাক আহমদ ও শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু এই কোট বেশি ব্যবহার করতেন।

তবে বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী, কামাল হোসেন বলেন যে, ১৯৬৮ সাল থেকে মুজিব এই  কোটটি পরতে শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন

পোশাক যাই হোক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে, আছে বাংলাদেশের সব মানুষের মনে।

তাই এই বিজয়ের দিনে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, মহান আল্লাহ্‌ সুব্হানাতাআলা বেহেস্তবাসি করুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ